কচুরিপানা নিয়ে কেন গবেষণা করা যাবে না এমন প্রশ্ন তুলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘এর আগে কচুরিপানা নিয়ে তিনি গবেষণা করতে বলেছিলাম। কিন্তু সেটা বিকৃত করে ‘কচুরিপানা খেতে বলেছেন’ বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়। এ জন্য সবক্ষেত্রেই প্রশ্ন করার সাহস থাকতে হবে। ’
তিনি বলেন, খেতে নয়, কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছিলাম।
সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন সংক্রান্ত সেমিনার-২০২১’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সেমিনারের আয়োজন করে পরিকল্পনা বিভাগের সামাজিকবিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে একবার বলেছিলাম গবেষণার প্রয়োজন আছে। এ রকম একটা গবেষণা নিয়ে আসুন। সেখানে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, চার-পাঁচজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। আমি সেদিন বলেছিলাম, কচুরিপানা নিয়েও কেন গবেষণা করা যাবে না? এটা নিয়ে এক সাংবাদিক ভাই বলেছিলেন যে, আমি কচুরিপানা খেতে বলেছি! সে জন্য প্রথমে যে কথাটা বলেছিলাম, সাহস। সাহস আমাদের সংস্কৃতিতে কম। আমি ক্ষুদ্র মুখে এই বড় কথা বলেছি। সাহস প্রদর্শন করতে হবে।
কিন্তু করবে কারা? তরুণ যারা, পড়ছে যারা, পড়াচ্ছেন যারা, তারা। দে মাস্ট শো কারেজ। প্রশ্ন করতে হবে। এই ধরনের (কচুরিপানা নিয়ে কেন গবেষণা হতে পারবে না) মৌলিক প্রশ্ন করার অধিকার যখন আমরা অর্জন করব, তখনই আমরা বাস্তবিক অর্থে শিক্ষিত হয়ে উঠব বলে মনে করি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইব যে, আরও অধিকতর গবেষণা হোক। সামাজিকবিজ্ঞান গবেষণা পরিষদে খুব বেশি টাকা নয়, আরও টাকা বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা যদি আপনাদের কাছ থেকে আরও ভালো ভালো প্রস্তাব দিতে হবে। সরকারি অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কোনো অদ্ভুত বিষয়ে আমরা গবেষণা আশা করি না। অদ্ভুত বিষয় বলতে পরি আছে কি না, জিন কোথায় বসবাস করে এগুলো কেউ করলে আমার সমস্যা নাই। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা সরকারি ব্যয়ে করবেন। আমার মন্ত্রণালয় থেকে আপনারা সহায়তা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, যারা বাইরে থেকে এসেছেন শিক্ষক ও গবেষকেরা, আপনাদেরকে আমি স্বাগত জানাই এই চত্বরে। আপনারা বেশি বেশি আসবেন। আপনারা যত বেশি আসবেন, যোগাযোগ রাখবেন, আমাদের লাভ হবে। আমাদের শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।
Development by: bdhostweb.com