সদ্য সমাপ্ত হয়েছে রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন। এ কাউন্সিল অধিবেশনে ৪ নং ওয়ার্ডে বর্তমান সময়ে আলোচিত উদ্দ্যমী, অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের কল্যাণে নিবেদীত প্রাণ, এলাকাবাসীর প্রাণপ্রিয় নেতা এই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য,কামাল হোসেনকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান এলাকার আওয়ামীলীগ ভক্ত সাধারণ জনগন। বাংলাদেশকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশাংসা করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, এই অগ্রযাত্রার একজন অন্যতম কর্মী কামাল হোসেন।এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালি করার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ বুকে ধারন করে দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আ’লীগের এই ত্যাগী নেতা। প্রকৃত মুজিব প্রেম বুকে ধারণ করা কামাল হোসেনকে ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
জনবান্ধব,গরীবের বন্ধু এই নেতা পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্রে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। তিনি ২০১২ সালে ওয়ার্ডবাসীর বিপুল সমর্থনে আ’লীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আ’লীগের কল্যানে নিষ্ঠার সহিত কাজ করে আসছেন।২০১৬ ইং সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এযাবত বেশ সুনামের সাথে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সৈয়দপুর গ্রামের মন্টু জানান, জাতির পিতার আদর্শের দলের একজন কর্মী হয়ে কাজ করছেন কামাল মেম্বার। বিএনপি-জামায়াতের ভয়ে যেখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কথা বলতে সাহস পেতো না, সেখানে সামনের সাড়িঁতে থেকে বিএনপি-জামায়াতের গণবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছে এই কামাল মেম্বার। তাই আমি মনে করি তাকে এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা উচিত।
মান্ডইল গ্রামের নয়ন বলেন,পরিচ্ছন্ন রাজনীতির প্রতিচ্ছবি উদীয়মান কামাল মেম্বারকে ৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার অর্পন করলে তিনি সর্বদা এলাকাবাসীর পক্ষে থাকবেন। শুধু তাই নয়,ওয়ার্ডের ৯০% মানুষের প্রাণের দাবি কামাল হোসেনকে পুনরায় সাধারন সম্পাদক পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, আমি দল থেকে কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করি না। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শকে ভালোবেসে রাজনীতি করি।এই রাজনিতী করতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতিত হয়েছি,অপমানিত হয়েছি,লাঞ্চিত হয়েছি বহুবার।২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোদাগাড়ী তানোরের উন্নয়নের রুপকার, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়েছি। জীবন হাতে নিয়ে ভোটকেন্দ্র রক্ষা করেছি তবুও হার মানিনী।আমি আশাকরি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড,জনসেবা সবকিছু বিবেচনায় রেখে গোদাগাড়ী তানোরের পোড়ামাটির সন্তান,আ’লীগের প্রান সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী আমাকে আবারো ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদের দায়িত্ব অর্পন করলে ৪ নং ওয়ার্ডবাসি আমাকে হাসি মুখে গ্রহন করবে বলে আমি আশাবাদী।আ’লীগের এই কর্মঠ নেতা আরো বলেন, আমাকে পুনরায় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার প্রদান করলে, আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। যেখানেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাধা হয়ে দাড়াবে, সেখান থেকেই প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করবো।
প্রসঙ্গত গত ১৩ ও ১৪ ই নভেম্বর শুক্রবার-শনিবারে দীর্ঘ ৮ বছর পর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আ: রশিদ।নতুন কমিটির জন্য সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদের নিকট নাম চাইলে এই ওয়ার্ডের অধিকাংশ আ’লীগ ভক্ত জনগন কামাল হোসেনের নাম প্রস্তাব এবং সমর্থন করেন।
Development by: bdhostweb.com