রাজধানীতে বিক্রি হচ্ছে ১২ জাতের গরুর মাংস।তবে কেজি নয় ভাগা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এসব মাংস। এ ভাগার দাম মাত্র ২৫০ টাকা।
ঈদের দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাওয়া গরুর মাংসকেই ১২ জাতের গরু বলে বিক্রি করছেন তারা।
সোমাবার বিকাল থেকেই মগবাজার রেলগেট, মালিবাগ রেলগেট, মহাখালী রেলগেট এবং আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের অদূরে ফুটপাতে এভাবে মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে কয়েকজন যুবককে।
আজিমপুরে গিয়ে দেখা গেল, মাংসের পশরা মিলিয়ে দুইজন যুবক চিৎকার করে বলছে, অ্যাই যে লন, ১২ জাতের গরু, ৬০০ টাকার গরু ছাইরা দিছি মাত্র ২৫০ টাকায়। এই সুযোগ আর পাইবেন না।’
আর তাদের চারপাশে ভিড় জমিয়েছেন অনেক নারী-পুরুষ। অনেকেই ব্যাগ নিয়ে এসেছেন কেনা জন্য। কেউ কেউ আবার এরইমধ্যে দর কষাকষিও করছেন।
উৎসুক কয়েকজন ক্রেতা জানান, বিভিন্ন বাড়ি গিয়ে এসব মাংস তারা পেয়েছে। কিন্তু এতো মাংস নিয়ে যাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর। তাছাড়া দেশে তাদের ফ্রিজ নেই যে এতো মাংস সংরক্ষণ করবে তারা। তাই ফ্রি তে পাওয়া এসব মাংস যে দামে বিক্রি হয় তাই তাদের লাভ।
অন্য আরেকজন জানালেন, এটা খুবই ভালো, রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষদের কোরবানি দেয়ার সামর্থ নেই। তারা এদের মতো অন্যের দ্বারে গিয়ে চাইতেও পারে না। তাই এরাই এসব মাংসের ক্রেতা হন।
মালিবাগ রেলগেটে গিয়ে দেখা গেল ২৫০ টাকা নয়, কিছু কিছু মাংসের ভাগা হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ২৫০ টাকার মাংসের ভাগাও রয়েছে।
বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বাড়ি বাড়ি ঘুরে যেসব মাংস পাইছি, তার থেকে বেশি ভালো আর ফ্রেশগুলা বাইছা এই বেশি দামি ভাগা দিছি। ২৫০ টাকার ভাগার মাংস ভালো মানুষ নিবে না। ওইটায় তেল- চর্বি আছে।
তবে সবই ১২ জাতের গরুর মাংস বলে জানান তিনি।
এখানে মাংস কিনতে এসেছেন পলাশ নামের এক গার্মেন্টসকর্মী। তিনি বলেন, ৯ হাজার টাকা বেতন পাই মাসে। কোরবানি দিমু কীভাবে। প্রতি ঈদে এখানে ১২ জাতের গরুর মাংসের ভাগা বসে। কয়েকভাগা কিনে নিয়ে যাই। এটাই আমাদের কোরবানি ঈদ উদযাপন।
তিনি বলেন, গত ঈদে ৬০০ টাকা দিয়ে ২ ভাগা মাংস কিনেছিলেন যা দিয়ে ঈদ চলে গিয়েছিল তার।
তার কম্পানির এমন অনেকেই আছেন এখানকার কাস্টমার।
Development by: bdhostweb.com